ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের দুটি ইউনিয়ন ও সরাইল উপজেলায় প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। আশুগঞ্জ-আখাউড়া মহাসড়কে চলমান উন্নয়নের কাজের কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দুইটা থেকে রাত একটা পর্যন্ত এসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন কয়েক হাজার বাসিন্দা।

বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সূত্রে জানা গেছে, সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের সব গ্রামেই গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। উপজেলা শহরে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে ৮–১০ হাজার আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহক আছেন। পূর্বঘোষণা ছাড়া হঠাৎ গ্যাস বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েন তাঁরা।  

উপজেলা সদরের সৈয়দটুলা গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন মিল্লাত প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসের চুলার ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোতে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় রান্নায় তাঁদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলির ঘাটুরা থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ৫-৬ কিলোমিটার এলাকা পড়েছে সদর উপজেলার সুহিলপুর ও বুধল ইউনিয়নে। এ দুই ইউনিয়নে বাণিজ্যিক ও আবাসিক গ্রাহক রয়েছেন সহস্রাধিক। এসব এলাকার বাসিন্দারাও ভোগান্তি পোহান।

গ্যাস সরবরাহ না থাকায় সরাইলের চারটি সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখা হয়। এতে সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা কমে যায়। রাত ১১টা পর্যন্ত ফিলিং স্টেশনগুলোতে ছিল যানবাহনের সারি। বিপাকে পড়েন চালকেরা।

এসব বিষয়ে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) প্রকৌশলী মো. আক্তারুজ্জামার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়কের উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত লোকজনের ভুলের কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সদরের বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর এলাকায় আমাদের গ্যাস সরবরাহ পাইপলাইনে সমস্যা দেখা দেয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলির ঘাটুরা থেকে শুরু করে উত্তর দিকে সরাইল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়।’