ভাবিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে দেবরের মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ডপ্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় লিপি আক্তার (৩২) নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবুল হাসেম।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম রাসেল মিয়া (৩০)। তিনি পূর্বধলা উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়া এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে। অন্যদিকে লিপি আক্তার একই গ্রামের বিজিবি সদস্য আজিজুল ইসলামের স্ত্রী। রাসেল সম্পর্কে লিপির চাচাতো দেবর।

মামলার এজাহার, স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, লিপি ও রাসেল একই বাড়িতে বসবাস করতেন। লিপির স্বামী বাড়িতে না থাকায় রাসেল প্রায়ই তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন। এমনকি তাঁকে প্রেমের প্রস্তাবও দেন রাসেল। কিন্তু লিপি এসবে রাজি ছিলেন না। এতে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর গভীর রাতে লিপিকে গলা কেটে হত্যা করেন। ওই দিন রাসেলের পাশের কক্ষে ১২ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন লিপি। হত্যার পর রাসেল নিজেও তাঁর গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে বাড়ির লোকজন রাসেলকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় গত ৫ অক্টোবর লিপির বড় বোন ফেরদৌসী বেগম বাদী হয়ে রাসেলকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর রাসেল ওই বছরের ১১ অক্টোবর নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২১ সালের মার্চ মাসে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়। মামলা পরিচালনায় আসামির পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আনিসুর রহমান।