নিষিদ্ধ ‘গৌরী ক্রিম’ পাকিস্তান থেকে দুবাই হয়ে আসছে চট্টগ্রামে
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকাল রোববার রাতে দুবাইফেরত দুই যাত্রীর কাছ থেকে রং ফর্সাকারী ক্রিম জব্দ করেছেন কর্মকর্তারা। আমদানিনিষিদ্ধ রং ফর্সাকারী ক্রিমটির নাম ‘গৌরী’। এটি পাকিস্তানে তৈরি হয়। অর্থাৎ পাকিস্তান থেকে দুবাই হয়ে চট্টগ্রামে এল নিষিদ্ধ ক্রিমটি। বিমানবন্দর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ২০২০ সালে আটটি রং ফর্সাকারী ক্রিমে ক্ষতিকর মাত্রায় পারদ ও হাইড্রোকুইনোন পায়। এসব প্রসাধনী ব্যবহার করলে চর্মরোগসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে, এমন সতর্কতা জারি করে সেগুলো বিক্রি, বিপণন ও আমদানি নিষিদ্ধ করে সংস্থাটি। এই আটটি ক্রিমের একটি হলো গৌরী ক্রিম।
আমদানিনিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে বৈধপথে গৌরী ক্রিম আমদানি বন্ধ হয়ে যায়, তবে আকাশপথে যাত্রীদের মাধ্যমে এই ক্রিম আনা শুরু হয়। এ বছর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কয়েক দফায় যাত্রীদের কাছ থেকে এই ক্রিম জব্দ করা হয়। সর্বশেষ গতকাল রাতে ক্রিমটির চালান জব্দ করা হলো।
গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় দুই যাত্রী ইমিগ্রেশন শেষ করে ব্যাগেজ নিয়ে গ্রিন চ্যানেল (শুল্ককরযুক্ত পণ্য না থাকলে এই পথে যাওয়া যায়) অতিক্রম করার সময় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা বা এনএসআই কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। এ সময় তাঁদের তল্লাশি করে ২ হাজার ৭৬ পিস গৌরী ক্রিম জব্দ করা হয়। পাশাপাশি ১৬৫ কার্টন সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। দুটি পণ্যের বাজারমূল্য প্রায় ১৩ লাখ টাকা। এসব পণ্য কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দুবাই থেকে আসা এই দুই যাত্রী হলেন ফেনী সদরের মো. আরিফুল ইসলাম এবং চট্টগ্রামের রাউজানের মোশাররফ হোসেন। বিমানবন্দরের মুখপাত্র মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, দুই যাত্রীর পাসপোর্ট নম্বর নথিভুক্ত করে জরিমানা করা হয়েছে। তাঁদের সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়।