নানার বাসায় বেড়াতে এসে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা গেল শিশু

নিহত মাইশা আক্তার
ছবি: সংগৃহীত

ভোলার দৌলতখান উপজেলার শিবপুরের মো. মাইনুদ্দিনের মেয়ে মাইশা আক্তার (১০)। খালার সঙ্গে সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস বেলুন বিক্রেতা নানার কাছে বেড়াতে এসেছিল। সেই গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা গেল শিশুটি। বুধবার বিকেলে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় ঢাকা কো-অপারেটিভ সোসাইটির ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও শিশুটির স্বজনেরা জানান, গত সোমবার ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার শিবপুর থেকে খালার সঙ্গে শিশু মাইশা সাভারে গ্যাস বেলুন বিক্রেতা নানা মান্নানের কাছে বেড়াতে আসে। মান্নান আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় ঢাকা কো-অপারেটিভ সোসাইটি ভেতরে একটি বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে বসবাস করছেন। বাড়ির একটি অংশে বেলুনে গ্যাস ভরে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন তিনি। বুধবার বিকেলে বেলুনে গ্যাস ভরে সিলিন্ডারটি ঠান্ডা করতে সেখানেই রেখে দেন মান্নান। মাইশা ওই সিলিন্ডারের কাছে গেলে সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়ে মাইশার ডান হাত ও মুখমণ্ডলের ডান পাশের অধিকাংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের উল্টো পাশে গিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত শিশুর খালা সীমা আক্তার বলেন, ‘আমি রান্না করতেছিলাম আর মাইশা বাইরে খেলতেছিল। সেখানে কেউ ছিল না। বাবা গ্যাস ভইরা (বেলুনে গ্যাসভর্তি) বোতল (সিলিন্ডার) ঠান্ডা কইরা বাইরে চইলা যায়। এরপর শব্দ হইছে। মাইশা ক্লাস সিক্সে পরীক্ষা দেওয়ার পর আমারে কইছে “খালামণি, বেড়াইতে যামু”। পরে আমার লগে কইরা আমি নিয়া আইছি। এখন আর তারে সাথে নিয়া যাওয়ার সাধ্য আমার নাই।’

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবেল হাওলাদার জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।