জামালপুর পৌর শহরে এক কলেজছাত্রীর পোশাক পরিবর্তনের ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানোয় এক তরুণকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটুস লরেন্স চিরান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. মারুফ (১৯) মেলান্দহ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন হোটেলশ্রমিক। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মো. মারুফ সম্প্রতি জামালপুর পৌর শহরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে গোপনে ঘরের ভেতরে এক কলেজছাত্রীর পোশাক পরিবর্তনের ভিডিও ধারণ করেন তিনি। এরপর তিনি ছাত্রীকে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব দেন। তবে ছাত্রী রাজি না হলে ভিডিওটি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। ওই ছাত্রী বিষয়টি পরিবারকে জানান।
পরিবারের সদস্যরা জামালপুরের একজন মানবাধিকারকর্মীকে জানালে তাঁর পরামর্শে কৌশলে গতকাল রাতে ওই তরুণকে আটক করেন স্থানীয় লোকজন। এরপর ইউএনওকে খবর দেওয়া হলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মারুফকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ইউএনও লিটুস লরেন্স চিরান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গোপনে তরুণীর ভিডিও ধারণ করে ওই তরুণ তাঁকে ব্ল্যাকমেল করছিলেন। পরে তাঁকে দণ্ড দেওয়া হয়।