পত্নীতলায় আ.লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৯ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে নজিপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রাণেশ্বর হালদার বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও দণ্ডবিধি-১৮৬০-এর ১৪৩, ৪৪৮, ৪২৭, ১১৪ ও ৩৪ ধারায় পত্নীতলা থানায় এ মামলা করেন।
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে এই মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
এর আগে গত শনিবার রাতে নজিপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মামুদপুর মোড়ে অবস্থিত পৌর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু তাহের, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বায়েজিদ হোসেন, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল কাদের, পত্নীতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপির ২০ থেকে ২৫ জন নেতা-কর্মী এ হামলায় অংশ নেন। এ সময় তাঁরা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে কার্যালয়ের ভেতর ঢুকে চেয়ার, টেবিল ও টিভি ভাঙচুর করেন। এ সময় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য অফিসের ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নজিপুর পৌরসভার মেয়র রেজাউল কবীর চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিজেরাই দলীয় অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে নেতা-কর্মীরা যেন অংশ নিতে না পারেন, সে জন্য আওয়ামী লীগ এই মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে। সমাবেশে যেতে বাধাগ্রস্ত করতে আরও নতুন নতুন চক্রান্ত করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।