নোয়াখালীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক বাবর হোসেনের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে ‘মধ্যম করিমপুর এলাকার সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসব কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে বাবর হোসেন খুনের বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্বজনেরা।
জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের বাইরে যখন এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়, তখন কার্যালয়ের ভেতরে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক চলছিল। বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় জেলা পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লা আল ফারুকের। তিনি বলেন, কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি অবগত। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ পর্যন্ত জেলায় কোনো অপরাধীই অশনাক্ত থাকেনি। এ ঘটনার রহস্যও পুলিশ উদ্ঘাটন করবে।
নিহত বাবর হোসেন নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে। গত বুধবার রাত ৯টার পর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ঘর থেকে বের হন তিনি। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের কোম্পানীঘাট এলাকার স্লুইস গেট–সংলগ্ন একটি কবরস্থানের পেছনে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। তাঁর মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল, গলায় কালো দাগ দেখা গেছে। পরিবারের ধারণা, কেউ শ্বাসরোধে বাবরকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় নিহত বাবরের বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।
বাবর হোসেনের খুনিদের বিচার দাবিতে এলাকাবাসীর কর্মসূচি চলে প্রায় এক ঘণ্টা। এতে নিহত বাবর হোসেনের তিন ভাই ইসমাইল হোসেন, মো. রাসেল, মো. বাদল এবং চার বোন রুনা বেগম, মেরি আক্তার, মিনা বেগম ও শারমিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া তাঁদের আত্মীয়স্বজন ও গ্রামের বাসিন্দারা কর্মসূচিতে অংশ নেন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন মো. রিয়াজ ও মো. উজ্জল। কর্মসূচিতে বাবরের এক বোন আহাজারি করে বলেন, ‘যারা আঙ্গো আদরের ভাইয়েরে আঙ্গো কাছেত্তুন লই গেছে, আমরা হিগুনের ফাঁসি চাই। হিগুন কিল্লায় আইজ চাইর দিনেও ধরা হড়েনি। আমরা প্রশাসনের কাছে আঙ্গো ভাইর খুনিদের বিচার চাই।’