নাটোরে আদালত থেকে ফেরার পথে বিএনপি নেতার ওপর হামলা, গুলি

হামলার পর আহত নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ানকে প্রথমে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে
ছবি: সংগৃহীত

নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান ওরফে শাহীনকে (৪২) মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ফেলে দেওয়ার পর পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার দুপুরে নাটোর শহরের ফুলবাগান এলাকায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপি এই ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছে।

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ আলী দেওয়ান একটি রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য আজ দুপুর ১২টার দিকে দায়রা জজ আদালতে আসেন। হাজিরা দেওয়ার পর তিনি মোটরসাইকেলে আদালত থেকে সিংড়ার দিকে রওনা হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ফুলবাগান এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তিনি সড়কের পাশে পড়ে গেলে ওই মাইক্রোবাস থেকে দুর্বৃত্তরা নেমে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তাঁর বাঁ হাত ভেঙে দেয়। পরে দুর্বৃত্তরা পরপর তিনটি গুলি করে। একটি গুলি পায়ে লেগেছে বলে ওই বিএনপি নেতা দাবি করেছেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক সেখানে পড়ে থাকার পর খবর পেয়ে বিএনপির দুই কর্মী তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে তাৎক্ষণিক রাজশাহীতে নেওয়া হয়।
বেসরকারি হাসপাতালটির চিকিৎসক-কর্মকর্তা কেউ এ ঘটনায় বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ফরহাদ আলী দেওয়ানকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সরকারি দলের নব্য নেতা-কর্মী। পূর্বপরিকল্পিতভাবেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দুর্বৃত্তরা তাঁর বাঁ হাত ভেঙে দিয়েছে এবং পায়ে গুলি করেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, আদালতে হাজিরা দিতে এসে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলার শিকার হওয়ার ঘটনা এর আগেও কয়েকবার ঘটেছে। তিনি নিজেও দুবার এ ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন। কিন্তু বিচার পাননি। এ অবস্থায় আদালতে যাতায়াত করা তাঁদের জন্য দুরূহ হয়ে পড়েছে। আবার না এলেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, তাঁরা সওজ কার্যালয়ের সামনে একটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই আহত বিএনপি নেতাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে নেওয়া হয়েছে বলে শুনেছেন। কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।