লাইসেন্স না থাকায় হাসপাতাল সিলগালা, সরিয়ে নেওয়া হলো রোগী

লাইসেন্স না থাকায় কসবার মমতাজ জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে কসবার গোপীনাথপুর এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

লাইসেন্স না থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ‘মমতাজ জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হাসপাতালের মালিক আফজাল হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাতজন রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরিয়ে নেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় ‘মমতাজ জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ এ অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সনজীব সরকার। অভিযানের সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরএমও মো. আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, লাইসেন্স না থাকায় হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হয়।

এদিকে বিকেলে কসবা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পাঁচ মাদকসেবী ও বহনকারীকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সনজীব সরকার তাঁদের এ সাজা দেন। দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন নরসিংদীর মো. রাজীব (৩৫), কসবার তারাপুর এলাকার মো. শাহিন মিয়া (৩৫), ফাহিম হোসেন (৩৫), কুষ্টিয়ার মো. জসিম হোসেন (৩০), কসবার তিনলাখপীর এলাকার ফারুক মিয়া (৩৫)। বিকেলেই তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সনজীব সরকার প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালের লাইসেন্স না থাকায় হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে চিকিৎসাধীন সাতজন রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ ছাড়া মাদক সেবন ও পরিবহনের দায়ে পাঁচজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।