ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর হাত বিচ্ছিন্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে শেফালী বেগম (৩৫) নামের এক নারীর ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকায় ঢাকা থেকে আসা চট্টগ্রাম অভিমুখী মালবাহী একটি ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি।

শেফালী বেগম সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের জগৎসার গ্রামের মো. সালাউদ্দিনের স্ত্রী। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক হাতেম আলী ভূঁইয়া জানান, দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিমরাইলকান্দি এলাকা পার হওয়ার সময় ওই নারী চট্টগ্রাম অভিমুখী মালবাহী ট্রেনে কাটা পড়েন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই নারীর ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পাশাপাশি তার মাথায় আঘাত লেগেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে আহত ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর একটি হাত বিচ্ছিন্নসহ মাথায় আঘাত লেগেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফাইজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরে কাঁধ থেকে হাত বিচ্ছিন্ন ওই নারীকে হাসপাতালে আনেন তাঁর স্বামী। ডান কাঁধে ব্যান্ডেজসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

আহত নারীর স্বামী মো. সালাউদ্দিন দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কয়েক দিন ধরে তিনি ‘আত্মহত্যার’ কথা বলছিলেন। তবে কী কারণে বলতেন, সেটা তিনি জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, আজ সকালে ওষুধ কেনার কথা বলে শেফালী বাড়ি থেকে বের হন। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও কোথাও সন্ধান পাননি। স্থানীয় বিভিন্ন মাধ্যমে স্ত্রীর ট্রেনে কাটা পড়ার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান।