গাংনীতে পিকনিকের বাস উল্টে খাদে, নারী-শিশুসহ আহত ৩০

খাদে উল্টে পড়া বাস। দুর্ঘটনার পর বাসে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস। রোববার গাংনীর তেরাইল গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় পিকনিকের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে উপজেলার তেরাইল গ্রামে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের একই পরিবারের চারজনসহ ১২ জনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন দেলোয়ার হোসেন (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী খাজিরন নেছা (৩০), মেয়ে সুমাইয়া (১০) ও সুমাইহা (৫), একই গ্রামের জুঁই খাতুন (৭), জোবাইয়া (৪) লিমা খাতুন (২৯), পলি খাতুন (৪০) ও তাঁর ছেলে সম্রাট (১৮), চামেলি খাতুন (৩০), মুক্তি খাতুন (২৯) ও সুরমান আলী (৪০)।

হাসপাতাল ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সদর উপজেলার রাজনগর গ্রাম থেকে নারী ও শিশুসহ মোট ৩৭ জন যাত্রী নিয়ে একটি বাস পিকনিকের উদ্দেশ্যে নাটোরের লালপুরে যাচ্ছিল। বাসটি গাংনীর তেরাইল ডিগ্রি কলেজের কাছাকাছি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে উল্টে পড়ে। দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা বামন্দী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন এবং বাসের ভেতরে আটকে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

বামন্দী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ইছাহাক আলী বলেন, বাস উল্টে যাত্রীরা আটকা পড়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহত লিমার ভাই মনিরুজ্জামান বলেন, আত্মীয়স্বজন মিলে নাটোরের লালপুর এলাকায় পিকনিকে যাচ্ছিলেন। রওনা দেওয়ার দুই ঘণ্টা পর বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর পান। এরপর অনেকে হাসপাতালে ছুটে যান। গুরুতর আহত কয়েকজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বাসটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।