চুয়েটে চলছে কমপ্লিট শাটডাউন, ক্লাস–পরীক্ষা বর্জন
দেশব্যাপী চলমান প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে চুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের শ্রেণিকক্ষগুলো ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা যায়। ক্লাসে শিক্ষার্থীরা না আসায় পরীক্ষা ও সব একাডেমি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল বুধবার ঢাকায় বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আজ তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন তাঁরা। গতকালও চট্টগ্রাম নগরে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন বলে জানান তাঁরা।
চুয়েটের পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য গেলে পুলিশ আমাদের ভাইদের ওপর নির্মমভাবে হামলা চালায়। দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের ওপর এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। ইতিমধ্যে পূর্বঘোষিত তিন দাবির সঙ্গে নতুন করে পাঁচটি দাবি জানিয়েছি। দাবি আদায়ের জন্য আমরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছি। আন্দোলন মেনে না নিলে শাটডাউন কর্মসূচি চলবে।’
চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মুক্তার হোসাইন বলেন, ‘ঢাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে আমরা সব সময় পাশে আছি। গতকালও শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ আমরা প্রশাসন থেকে জানিয়েছি। আশা করি, সরকার শিগগির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে এই সমস্যার একটি যৌক্তিক সমাধান করবে।’
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে আড়াই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা ঢাকায় হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমসহ তিন উপদেষ্টাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া এবং রমনার উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলমের পদত্যাগের দাবি জানান। এ ছাড়া এ ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার দায়ে সরকারের গায়েবানা জানাজাও পড়েন শিক্ষার্থীরা।