গজারিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি

পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন। আজ শনিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে
ছবি: প্রথম আলো

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত হোসন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক, তাঁর ভাই-ভাতিজাসহ জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেন। এ সময় বক্তারা আসামিদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম গোলজার হোসেন। তিনি দৈনিক মানবজমিনের মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি এবং মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি। হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত মনিরুল হক উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।

গত বুধবার অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় সাংবাদিক গোলজারসহ অন্য সাংবাদিকেরা হোসেন্দি ইউনিয়নের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় তখন গোলজারের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে মনিরুল হক, তানভীরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় মামলা হয়।

মানববন্ধনে সাংবাদিকেরা বলেন, ভোটের দিন হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক, তাঁর ভাই সরকারি কর্মকর্তা ইকবাল হক ও তাঁদের ভাতিজা তানভীর হক ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার ওপর হামলা করেন। সেই দৃশ্য ধারণ করায় চেয়ারম্যান মনিরুলরা সাংবাদিক গোলজারকে অবরুদ্ধ করে মারধর করেন। ওই কেন্দ্রে থাকা ৭ জন সাংবাদিককে আধা ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে মেরে ফেলা, হাত-পা কেটে নেওয়ার প্রকাশ্যে হুমকি দেন। এসব ঘটনা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক পারভেজ, ইমরানদের সামনেই এসব ঘটনা ঘটেছে। অথচ তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেননি।

এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় ইকবাল হকের নাম নেওয়া হয়নি। ঘটনার তিন দিন পার হচ্ছে, কোনো আসামিকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এটি উদ্বেগের। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানসহ দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান সাংবাদিকেরা।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজীব খান প্রথম আলোকে বলেন, অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক, তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না। সাংবাদিক এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান, তার লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে। তাঁরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি, খুব শিগগরিই তাঁরা গ্রেপ্তার হবেন।