ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যায় ২৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

নিহত ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় ২৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার দ্বিতীয় অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম এই আদেশ দেন। মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৩০ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান।

ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আদালতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। এই আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার শুরু হলো।

রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, মামলার ২৪ আসামির মধ্যে ২৩ জন বর্তমানে জামিনে আছেন। একজন কারাগারে আছেন।

সুদীপ্ত চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ছিলেন। ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর তাঁকে নগরের নালাপাড়া এলাকায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।

মামলায় গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলমসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

ফেসবুকে লেখালেখিকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দলের জেরে সুদীপ্তকে হত্যা করা হয় বলে তদন্তে উঠে আসে। অভিযোগপত্রে নগরের লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম ওরফে মাসুমকে হত্যার নির্দেশদাতা ও আইনুল কাদেরকে নেতৃত্বদানকারী বলা হয়। দিদারুল এই অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন।

আরও পড়ুন

ছয় দফা পেছানোর পর আজ এই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

ছেলে হত্যার বিচার শুরু হবে, এই আশায় আজ আদালতে এসেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মেঘনাথ বিশ্বাস। এর আগে টানা ছয় বার তিনি নিরাশ হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন

গত ১৯ জানুয়ারি আসামিরা সময়ের আবেদন করায়, ২২ মার্চ বিচারক ছুটিতে থাকায়, ২৬ মার্চ এক আসামি হাজির না থাকায় এবং ২০ জুন, ৬ সেপ্টেম্বর ও ১৮ জুলাই আসামিপক্ষ সময় প্রার্থনা করায় মোট ছয় দফা অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে যায়। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের আনুষ্ঠানিক বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়ে থাকে।

মেঘনাথ বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, তিনি চান, দ্রুত বিচারকার্য যেন শেষ হয়। মৃত্যুর আগে তিনি যেন আসামিদের শাস্তি দেখে যেতে পারেন।