কালকিনিতে প্রতিপক্ষের হাতবোমা হামলায় প্রাণ গেল মুদিদোকানির

মনির চৌকিদার
ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় প্রতিপক্ষের হাতবোমা হামলায় মনির চৌকিদার (৩০) নামের এক মুদিদোকানি নিহত হয়েছেন। উপজেলার চরদৌলতখান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিয়ারহাট লঞ্চঘাট এলাকায় সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মনির চৌকিদার উপজেলার মিয়ারহাট লঞ্চঘাট এলাকার রশিদ চৌকিদার ছেলে। লঞ্চঘাট এলাকায় তাঁর মুদিদোকান রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরদৌলতখান ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া শিকদারের সঙ্গে ওই ইউপির পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর আগেও ইউপি নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হত্যাকাণ্ড ও একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মিলন মিয়ার সমর্থক মুদিদোকানি মনির চৌকদার সোমবার ইফতারি শেষ করে এশারের নামাজ পড়তে স্থানীয় একটি মসজিদে যান। নামাজ শেষ করে দোকানে ফেরার পথে মনিরকে লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ করেন চাঁন মিয়ার লোকজন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মনিরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক মনিরকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে বোমা বিস্ফোরণে নিহতের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মিলন মিয়া বলেন, ‘মনির চৌকিদার আমার সমর্থক ছিলেন। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী চাঁন মিয়া ও তাঁর লোকজন এ হামলা চালিয়ে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

অভিযোগের জানতে চাইলে চরদৌলতখান ইউপির চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার পক্ষের কারও সঙ্গে এই লোকের (মনির চৌকদার) কোনো বিরোধ নেই। নির্বাচনের পরে আমার এলাকায় কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। অন্য কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এ ঘটনা ঘটেছে, সেই দায় এখন আমার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

জানতে চাইলে মাদারীপুর কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন রাত ১০টায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইউপি নির্বাচন ছাড়াও স্থানীয় রাজনৈতির গ্রুপিং জেরে মনিরকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়েছে। বোমার আঘাতে তাঁর মুখমণ্ডল পুরোটাই ঝলসে গেছে। ঘটনার পর থেকেই আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের আটক করতে আমাদের কয়েকটি দল অভিযান শুরু করেছে।’