ফোন পেয়ে যান বন্ধুর বাড়িতে, সেখানে ছুরিকাঘাতে নিহত তরুণ

ছুরিকাঘাতে নিহত তৌফিক হাসানের স্বজনেরা আহাজারি করছেন। শনিবার সকালে ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর কারিগর পাড়ায়
ছবি: প্রথম আলো

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় কর্মস্থলে যাওয়ার পথে এক তরুণ মুঠোফোনে ফোন পেয়ে যান তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে। পরে সেই বাড়িতে ছুরিকাঘাতে তিনি নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কাটাখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কে বা কারা ছুরিকাঘাত করেছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ঘটনার পর থেকে তাঁর বন্ধু পলাতক আছেন।

নিহত তরুণের নাম তৌফিক হাসান (২২)। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর কারিগর পাড়ার শাহাদৎ হোসেনের ছেলে। তৌফিক স্থানীয় আফিল ফার্ম নামে একটি পোলট্রি ফার্মে চাকরি করতেন। অভিযুক্ত তাঁর বন্ধুর নাম কেসমত বাবু।

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তৌফিক প্রতিদিনের মতো আজ সকালে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁর বন্ধু কাটাখাল এলাকার বাসিন্দা কেসমত বাবুর মুঠোফোনে ফোন পেয়ে তাঁর বাড়িতে যান। সেই বাড়িতেই তৌফিক ছুরিকাহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তৌফিককে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান।

তৌফিক হাসান
ছবি: সংগৃহীত

নিহত তৌফিকের খালা রত্না খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো তৌফিক ফার্মে কাজে যাচ্ছিলেন। বাবুর ফোন পেয়ে তৌফিক আফিল রোডে বাবুর বাড়িতে যান। সেখানেই তৌফিককে ছুরি মেরে জখম করা হয়। বাবু ও তৌফিকের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। দুজন দুজনের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। কিন্তু কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, বুঝতে পাচ্ছি না।’

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিক তদন্তে নিহত তৌফিকের সঙ্গে কেসমত বাবুর স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্ক থাকার বিষয়টি জানা গেছে। এর জের ধরেই ছুরিকাঘাতে তৌফিক নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক কেসমত বাবুকে ধরার চেষ্টা চলছে।