কুমিল্লায় ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে খুন হন আওয়ামী লীগ নেতা: দাবি পুলিশের

কুমিল্লা জেলার মানচিত্র

ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল খুন হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন। এ ঘটনায় ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান বলেন, ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মোস্তফা কামালকে। এ ঘটনায় নিহত মোস্তফার স্ত্রী রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গতকাল শনিবার রাতে চাঁদপুর থেকে মামলার আসামি মো. নাজিম উদ্দীনকে (৩৯) ও রুমন ব্যাপারী সুমনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে। নিহত মোস্তফা ও গ্রেপ্তার দুজন একই পক্ষের ডাকাত দলের সদস্য। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলাও আছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, মো. নাজমুল হাসান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, মোস্তফা কামালের সঙ্গে একই এলাকার সাইদুর রহমান নামের এক ব্যক্তির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকে দ্বন্দ্ব ছিল। তাঁরা দুজনই এলাকায় নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। দুজনের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা আছে। ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নয়াচর এলাকার সড়কের ধারে দুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় সাইদুরের সঙ্গে আরও দুই-তিনজন ছিলেন। বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে সাইদুর তাঁর সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে মোস্তফা কামালের গলায় আঘাত করেন। এতে সেখানেই লুটিয়ে পড়েন মোস্তফা। পরে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। হত্যাকাণ্ডের পরপরই গা ঢাকা দেন সাইদুর। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে তিতাস থানায় নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন