রাজশাহীতে বছরের প্রথম দিনে সব বই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা

আগামী ১ জানুয়ারি সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই উৎসব করা হবে। তবে রাজশাহীর অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো সব বই এসে পৌঁছায়নি
ফাইল ছবি

রাজশাহীতে বছরের প্রথম দিনে বই উৎসবের সর্বশেষ প্রস্তুতি চলছে। আগামী ১ জানুয়ারি সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই উৎসব করা হবে। তবে এবারও রাজশাহীর শিক্ষার্থীরা নতুন সব বই পাবে না।

চাহিদার বিপরীতে এখন পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরের নতুন বই মিলেছে ৭০ শতাংশের মতো। আর মাধ্যমিক স্তরে মিলেছে ৫০ শতাংশের কিছু বেশি। নতুন বইগুলো রাজশাহীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলায় মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৪৫ লাখ ২১ হাজার পাঠ্যবইয়ের চাহিদা আছে। তবে এখন পর্যন্ত বই পাওয়া গেছে ৫৪ শতাংশের মতো। এর মধ্যে কোনো কোনো উপজেলায় ৪০ শতাংশ এবং কোথাও ৬০ শতাংশ বই পৌঁছেছে। কিছু শ্রেণির সব পাঠ্যবই এসেছে। আবার কোনোটিতে দু-তিনটি বিষয়ের বই এসেছে।

রাজশাহী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, এবার এখনো সব বই পাননি তাঁরা। সব মিলিয়ে ৫৪-৫৫ শতাংশ বই এসেছে। বইগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দেওয়া হচ্ছে। বাকি বই দ্রুত চলে আসবে বলে তাঁদের ধারণা। করোনার কারণে আগের দুই বছর উৎসব করে বই দিতে পারেননি। এবার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে বই উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিকের চেয়ে প্রাথমিক স্তরে এবার বেশি বই এসেছে। জেলা ও মহানগর মিলিয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বইয়ের চাহিদা আছে ১৩ লাখ ১৭ হাজার ১৬৭। ইতিমধ্যে ৯ লক্ষাধিক বই পেয়েছেন তাঁরা। বইগুলো ইতিমধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, তাঁরা বেশির ভাগ বই হাতে পেয়েছেন। সেগুলো বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলে গেছে। বাকি বই আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চলে আসবে।

গত দুই বছর করোনার কারণে বই উৎসব হয়নি। ওই দুই বছর পালাক্রমে কয়েক দিন ধরে শিক্ষার্থীদের বই দেওয়া হয়। তবে এবার উৎসব করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই দেওয়া হবে।

রাজশাহী সরকারি প্রমথনাথ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌহিদ আরা বলেন, তাঁরা ইতিমধ্যে বই পেয়েছেন। সব বই আসেনি। সেগুলো কয়েক দিনের মধ্যে চলে আসবে। গত দুই বছর বড় পরিসরে বই উৎসব পালন করতে পারেননি তাঁরা। এবার আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।