পাকুন্দিয়ায় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ প্রার্থীর

কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন
ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সোহরাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. মকবুল হোসেন। অভিযোগে তিনি বলেছেন, সংসদ সদস্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে ভোটারদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত ও চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন।

আজ শনিবার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও নির্বাচনের প্রার্থী মকবুল হোসেন উল্লেখ করেন, ‘আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এখানে আমি কই মাছ প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছি। কিন্তু নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন অবস্থান করে একজন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। ভোটারদের তিনি বিভিন্নভাবে প্রভাবিত ও চাপ প্রয়োগ করছেন। সংসদ সদস্যের এমন কর্মকাণ্ড নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’

অভিযোগ অস্বীকার করে সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে তিনি কোনো নেতা-কর্মীকে নির্দেশ দেননি। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ।

পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে বর্তমানে চারজন ভোটের মাঠে আছেন। তাঁরা হলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম, দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম দিদারুল হক, কই মাছ প্রতীকের প্রার্থী মো. মকবুল হোসেন এবং আনারস প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক।

গত ২৯ এপ্রিল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম হাবিবুর রহমান ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তাঁর প্রতীক ছিল হেলিকপ্টার। এর আগে জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদও সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মকবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সংসদ সদস্যের ইঙ্গিতেই তাঁর অনুসারীরা আনারস প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হককে পাস করাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। সংসদ সদস্যের এসব কর্মকাণ্ড নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছে। এটি বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতেই লিখিত অভিযোগ করেছেন।