নরসিংদীতে বাড়ির ছাদে একজনকে গলা কেটে হত্যা

হত্যা
প্রতীকী ছবি

নরসিংদী শহরের একটি তিনতলা বাড়ির ছাদে মো. কামরুজ্জামান (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে নরসিংদী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নরসিংদী সদর হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত পৌনে ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

কে বা কারা, কী কারণে কামরুজ্জামানকে হত্যা করল, তা বুঝতে পারছেন না তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। তবে হত্যাকাণ্ডের পর ওই ভবনসংলগ্ন গলি ধরে হত্যাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে, এমন একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

নিহত মো. কামরুজ্জামান নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়া এলাকার মৃত আবদুল হামিদের ছেলে। সদর উপজেলার হাজীপুরের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে তিনি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। ১০ বছর প্রবাসজীবন কাটিয়ে সম্প্রতি দেশে ফেরার পর কয়েকটি টিউশনি শুরু করেন তিনি। তাঁর আট বছর বয়সী এক মেয়ে ও তিন বছর বয়সী এক ছেলে আছে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দুর্বৃত্তরা গলায় আঘাত করার পর কামরুজ্জামান ওই অবস্থায় ছাদ থেকে নেমে আসেন। তাঁকে এ অবস্থায় উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত তাঁকে ঢাকায় পাঠান। পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল সিয়াম বলেন, ‘কামরুজ্জামানকে যখন আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল, তখন তাঁর গলা থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তাঁর গলায় এমনভাবে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়েছে, এতে ভোকাল কর্ড ও খাদ্যনালি কেটে গিয়েছিল। রক্তক্ষরণ থামানো যাচ্ছিল না। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিয়ে দ্রুত তাঁকে ঢাকায় পাঠাই।’

নিহতের ভাই মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কামরুজ্জামানকে কেউ এভাবে হত্যা করতে পারে, এটাই কোনোভাবে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ওই বাড়ির ছাদে গিয়ে বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর যে গলি ধরে হত্যাকারীরা পালিয়েছে, সেখানকার একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।