রাজশাহীতে মার্চ টু ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা
রাজশাহীতে মার্চ টু ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কর্মসূচি পালন করেছে ‘জুলাই ৩৬ মঞ্চ’। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের ভদ্রা মোড় থেকে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কার্যালয় পর্যন্ত মার্চ কর্মসূচি শুরু হলে মাঝপথে পুলিশ বাধা দেয়।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কর্মসূচি শুরু হয়। সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের প্রায় ১০০ মিটার আগেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলটি আটকে দেয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান নেন এবং সামনে অগ্রসর হওয়ার অনুমতি চান। প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষার পরও অনুমতি না পাওয়ায় তাঁরা জোরপূর্বক কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। এতে পুলিশ বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর অংশগ্রহণকারীরা ব্যারিকেডের সামনে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় তাঁরা সেখানে অবস্থান করেন। এ সময় জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক হযরত আনাস, রাজশাহী মহানগরের অব্যাহতিপ্রাপ্ত যুগ্ম সদস্যসচিব সোয়েব আহমেদ, জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করা সাংগঠনিক সম্পাদক ইফফাত উদ্দিন, জুলাই যোদ্ধা আবু রায়হান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাটোর জেলার মুখপাত্র বুশরা উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই যোদ্ধা মিফতাহুল জান্নাত বলেন, ভারত পলাতক সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়েছে। তাই এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় তিনি তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ভারতে পলাতক সব আসামিকে ফেরত পাঠাতে হবে, তাঁদের ফেরত না দিলে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় হাইকমিশনকে প্রত্যাহার বা স্থগিতাদেশ দিতে হবে এবং এই কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার জন্য জবাবদিহি করতে হবে। এসব দাবি লেখা একটি কাগজ তাঁরা নগরের বোয়ালিয়া অঞ্চলের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) গোলাম রাব্বানী শেখের কাছে হস্তান্তর করেন।
গোলাম রাব্বানী শেখ বলেন, ‘তিনটি দাবির মধ্যে দুটি জাতীয় পর্যায়ের বিষয়। আমরা এই চিঠি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেব। আর পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সেটা আমরা ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নেব।’
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, বেলা তিনটার দিকে আন্দোলনকারীরা তাঁদের কর্মসূচি শেষ করে চলে যান।