আট দফা দাবিতে জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবারছবি: প্রথম আলো

আট দফা দাবিতে জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা।

গতকাল রোববার বিকেলে প্রথমে কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শুরু হয়। স্লোগান দিতে দিতে শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তর পরিচালিত এই কলেজে শিক্ষক–সংকট চলছে। কলেজটিতে মাত্র ছয়জন স্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন। কিছু অতিথি শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে, ফলে পাঠদানে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে। জনবল না থাকায় ল্যাবের যন্ত্রপাতি ও মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

মিরাজ হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের দাবি-দাওয়া একেবারেই যৌক্তিক। দীর্ঘদিন ধরে আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। বুটেক্স নিয়মিত শিক্ষক নিয়োগ দিলেও তাদের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হয় না। কলেজে একজন ল্যাব সহকারীও নেই। পরীক্ষার ফল প্রকাশেও দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে। টেক্সটাইল কলেজকে শিক্ষা অধিদপ্তরে স্থানান্তর করতে হবে। আমাদের আট দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।’

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষক–সংকট নিরসন ও নিয়োগবিধি পরিবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়ন, তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, প্রতি সেমিস্টারের পর মার্কশিট ও গ্রেডশিট প্রদান, ছয় মাসের মধ্যে সেমিস্টার সম্পন্ন, কোর্স মানোন্নয়ন (ইমপ্রুভমেন্ট) পরীক্ষায় জিপিএ মান বৃদ্ধি, সেমিস্টার ও রিটেক ফি কমানো, মেশিনারিজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ জনবল নিয়োগ এবং ক্যাম্পাসের আশপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব পরিচয়সহ বাস বরাদ্দ।