সড়ক দুর্ঘটনায় বিপিএটিসি কর্মকর্তার মৃত্যু, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
ঢাকার সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) সহকারী প্রোগ্রামার মো. রুস্তম রাব্বানী নিহতের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ কর্মসূচি পালন করেছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সাভারে বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনের পাশে মানববন্ধন করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মানববন্ধনে বিপিএটিসির পরিচালক (প্রশাসন) মোহা. রফিকুল ইসলাম, পরিচালক (ব্যবস্থাপনা) মো. আবুল বাসার, বিপিএটিসির সিস্টেম অ্যানালিস্ট মুহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম, বিপিএটিসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত রোববার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিপিএটিসি ৩ নম্বর ফটকের সামনে সড়ক পার হওয়ার সময় বিপিএটিসির সহকারী প্রোগ্রামার মো. রুস্তম রাব্বানীকে ওয়েলকাম ব্যানারের একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে আহত রাব্বানীকে সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল আটটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এ ঘটনায় বিপিএটিসির এস্টেট অফিসার আজিজুল হাকিম বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
বিপিএটিসি কর্মচারী ক্লাবের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘রুস্তম রাব্বানী আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন দক্ষ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা ছিলেন এবং মানুষ হিসেবেও অত্যন্ত ভালো মনের অধিকারী ছিলেন। তাঁর এমন অকালপ্রয়াণে আমরা মর্মাহত। তাঁর পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। দোষী বাসচালকের শাস্তির পাশাপাশি বাস কর্তৃপক্ষের কাছে নিহতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া আমাদের প্রতিষ্ঠানের সামনের সড়কে গতিরোধক স্থাপন করার দাবিও জানাই।’
মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই, আর কোনো মায়ের বুক এভাবে খালি না হয়, অপ্রত্যাশিতভাবে এভাবে কোনো সন্তান যেন তার বাবাকে না হারায়। দেশের কোনো জনগণ এভাবে আহত বা নিহত না হয়। বিপিএটিসি পরিবারের পক্ষ থেকে নিরাপদ সড়কের যে দাবি তোলা হচ্ছে, সেটি নিশ্চিত হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’