সাজেকে বারান্দা ও স্থানীয়দের বাড়িঘরে রাত কাটালেন শতাধিক পর্যটক

রুইলুই ভ্যালির চারপাশে মনোরম পাহাড় আর সাদা তুলোর মতো মেঘের সারি আপনাকে মুগ্ধ করবেইফাইল ছবি

ঈদ, সাপ্তাহিক ও নববর্ষের টানা ছুটিতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা সাজেক ইউনিয়নে রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে (রুইলুই ভ্যালি) পর্যটকের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে। রিসোর্ট-কটেজে কক্ষ না পেয়ে শতাধিক পর্যটক বারান্দা, স্থানীয় মানুষদের বাড়িঘর ও রাস্তায় ঘুরে রাত কাটিয়েছেন। পর্যটকের ঢেউ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রিসোর্ট-কটেজ কর্তৃপক্ষকে। আজ রোববার রাতেও পর্যটকের চাপ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি।

সাজেকে কয়েকজন পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার টানা ছুটিতে রুইলুই ভ্যালির সব রিসোর্ট-কটেজের কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে যায়। ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো কক্ষ খালি ছিল না। কিন্তু গতকাল (শনিবার) পাঁচ ৫০০ শতাধিকের বেশি পর্যটক কক্ষ বুকিং না নিয়ে সাজেকে যান। এর মধ্যে অনেকে চেষ্টা করেও কক্ষ না পেয়ে তিন শতাধিক পর্যটক রুইলুই ভ্যালিতে থেকে খাগড়াছড়ি চলে যান। যাঁরা কক্ষ বুকিং না নিয়ে রুইলুই ভ্যালিতে থেকে যান, তাঁরা সন্ধ্যার পর দিশাহারা হয়ে পড়েন। পরে এসব পর্যটক স্থানীয় মানুষদের বাড়িঘর, বারান্দা, অসমাপ্ত রিসোর্ট-কটেজ ও রাস্তায় ঘুরে রাত কাটিয়েছেন।

রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের সূত্রে জানা গেছে, রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে ১১২টি রিসোর্ট-কটেজে গাদাগাদি করে থাকলে চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার অতিথি থাকতে পারেন। এর চেয়ে বেশি পর্যটক ভ্রমণ করলে কক্ষসংকট দেখা দেয়।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, গত শনিবার পাঁচ শতাধিক পর্যটক কক্ষ বুকিং না নিয়ে রুইলুই ভ্যালিতে ভ্রমণে আসেন। এর মধ্যে তিন শতাধিক পর্যটক খাগড়াছড়ি চলে যান। যাঁরা রয়ে যান, তাঁরা স্থানীয় মানুষদের বাড়িঘর, বারান্দা, রিসোর্ট-কটেজের স্টাফকক্ষ, অসমাপ্ত রিসোর্ট-কটেজ ও রাস্তায় ঘুরে রাত কাটান।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুর্পণ দেবর্বমণ বলেন, সাজেকে ১২ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো কক্ষ খালি নেই। যাঁরা কক্ষ বুকিং না নিয়ে আসবেন, তাঁদের অন্য উপায়ে রাত কাটাতে হবে। আজ রোববারও পর্যটকদের প্রচণ্ড চাপ থাকবে।