বগুড়ায় নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর লাশ উদ্ধার

নিহত ব্যবসায়ী পিন্টু আকন্দ
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে নাকেমুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। অপহরণের দুই ঘণ্টা পর গতকাল সোমবার রাত সোয়া ১১টা দিকে পার্শ্ববর্তী আদমদীঘি উপজেলার কুমারপাড়া এলাকা তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ব্যবসায়ীর নাম পিন্টু আকন্দ (৩৫)। দুপচাঁচিয়া সদরে তাঁর জুতার শোরুম ছিল। তাঁর বাড়ি নওগাঁর রানীনগর উপজেলায়। গতকাল রাত সোয়া ৯টার দিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার সদরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে অস্ত্রের মুখে চারজন পিন্টু আকন্দকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। ওই ঘটনার দৃশ্য সিসিটিভির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশ ও সিসিটিভি ফুটেজ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ৯টা ৮ মিনিটের দিকে দুপচাঁচিয়া সদরের লোটো আউটলেটের সামনে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস এসে থামে। সেখান থেকে মুখোশ পরা চারজন নেমে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ী পিন্টু আকন্দকে টেনেহিঁচড়ে মাইক্রোবাসে তোলে। অপহরণকারী ব্যক্তিরা মাইক্রোবাস নিয়ে বগুড়া–নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে আদমদীঘি উপজেলার দিকে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে আদমদীঘি উপজেলার কুমারপাড়া এলাকা তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, অপহরণের দৃশ্য সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছিল। দুর্বৃত্তদের আটকের জন্য পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান শুরু করে। রাত সোয়া এগারোটার দিকে আদমদীঘি উপজেলা থেকে ব্যবসায়ী পিন্টু আকন্দের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাকেমুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল। শ্বাস বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ওসি আফজাল হোসেন আরও বলেন, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত  মাইক্রোবাস জব্দ এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চালককে আটক করা হয়েছে। অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অপহরণকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।