বদলগাছী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৮ প্রার্থীর ১২ জনই জামানত হারাচ্ছেন

নওগাঁ জেলার মানচিত্র

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানসহ তিনটি পদে মোট ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে ১২ জন প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। গতকাল বুধবার ভোটগ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা যায়।

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বদলগাছী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ছয়জন প্রার্থীই জামানত হারাতে যাচ্ছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭৬ হাজার ১ জন। ৫৩টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৫৩ হাজার ৬৭৬টি। এর ১৫ শতাংশ ভোট হচ্ছে ৮ হাজার ৫১টি। যা পাননি ছয়জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। জামানত হারাতে যাওয়া ছয় প্রার্থীর মধ্যে তিনজন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা। তাঁরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইমামুল আল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জবির উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য বাবর আলী। জামানত হারাতে যাওয়া অপর তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন সাইদুর রহমান, শহিদুল ইসলাম ও মিঠু মণ্ডল।

বদলগাছীতে উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ শামসুল আলম খান কৈ মাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ২১ হাজার ৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু খালেদ কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ২৬৭ ভোট।

ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, বদলগাছী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে বিজয়ী প্রার্থী ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছাড়া বাকি চার প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৫৩ হাজার ৬৮৪ ভোট। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ৮ হাজার ৫২ ভোট। এই পরিমাণ ভোট পাননি চার প্রার্থী। এখানে বই প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে রিজুয়ান হোসেন ২৪ হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাফিজার রহমান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১০ হাজার ২০১ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁদের দুজনই জামানত হারাচ্ছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৫৩ হাজার ৬৭৮। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পাননি দুই প্রার্থী। এখানে রিনা বেগম কলস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ২৭ হাজার ৮৭৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিলু আখতার ফুটবল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পেয়েছেন ১১ হাজার ৮২২ ভোট।