জয়পুরহাটে শিশু তাসনিয়া হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় স্কুলছাত্রী তাসনিয়া খাতুনের হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধনে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বটতলী বাজার এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় স্কুলছাত্রী তাসনিয়া খাতুনের হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বটতলী বাজারে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে তার সহপাঠী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা অংশ নেন।

তাসনিয়া বড়তাড়া ইউনিয়নের শালবন গ্রামের বাসিন্দা ও বটতলী সানরাইজ মডেল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে। দুই দিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী একরামুল হোসেনের গোয়ালঘর থেকে শিশুটির বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বটতলী সানরাইজ মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহবুবর রহমান, শালবন মাদ্রাসার মহতামিম মাওলানা উসমানী, ক্ষেতলাল পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল আলিম, বড়তাড়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নরুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেতলাল পৌর শাখার সেক্রেটারি আবদুল কুদ্দুস ও নিহত তাসনিয়ার বাবা এরশাদ হোসেন।

মাহবুবর রহমান বলেন, ‘তাসনিয়া খাতুন আমাদের স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। তার খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

তাসনিয়ার বাবা এরশাদ হোসেন বলেন, ‘আমার একমাত্র আদরের সন্তান তাসনিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর কীভাবে বেঁচে আছি—তা বলতে পারব না। আমার সন্তানের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি করছি।’

১৯ সেপ্টেম্বর তাসনিয়ার লাশ উদ্ধারের পর গ্রামবাসীরা একরামুলের স্ত্রী হাবিবা আকতার কুমকুম ও তাঁদের বাড়ির কাজের লোক আঞ্জুয়ারাকে আটক করে পুলিশে দেন। এ ঘটনায় তাসনিয়ার বাবা ছয়জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় একরামুল স্ত্রী ও বাড়ির কাজের লোককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে একরামুলসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব প্রথম আলোকে বলেন, তাসনিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত দুজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি একরামুলের স্ত্রী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।