সোনাগাজীতে ‘ছোট ভাইকে চড় দেওয়ায়’ বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে খুনের অভিযোগ

আবির হোসেন ও আরিফুল ইসলাম (বাঁ থেকে)ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে ঘিরে নিজের বন্ধুকে ছুরিকাঘাত করে আরেক তরুণ খুন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ইফতারের সময় উপজেলার মতিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত তরুণের নাম মো. আবির হোসেন ওরফে ছোটন (২৩)। তিনি উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া এলাকার কালা মিয়ার ছেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম ওরফে হৃদয় (২৩) একই এলাকার মো. বাবুল মিয়ার ছেলে। আবির ও আরিফুল বন্ধু ছিলেন। তাঁদের নামে গাজীপুর সদর ও ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানায় বিভিন্ন অভিযোগে চারটি করে মোট আটটি মামলা আছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোনাগাজী-ফেনী সড়কের মতিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরিফের ছোট ভাই মো. নিলয়ের একটি দোকান আছে। গতকাল বিকেলে আবির ও আরিফ দুই বন্ধু একসঙ্গে ওই দোকানে ইফতার করতে যান। এ সময় দোকানদার নিলয় আবিরের কাছে বাকি টাকা চাইলে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। আবির তখন নিলয়কে চড় দেন। ছোট ভাইকে মারায় তখন এগিয়ে এসে বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া বাধান আরিফ। বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে তিনি ইফতারির শসা কাটার ছুরি আবিরের পেটে ও বুকে ঢুকিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে আবির মাটিতে লুটে পড়েন। অন্যদিকে আরিফ দোকান থেকে বের হয়ে পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন আবিরকে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুদ্বীপ রায় প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন ও আরিফকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় আরিফের আরেক ভাই মো. বিজয় ও আবিরের বন্ধু মো. মামুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির লাশ ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আজ সোমবার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দিলে তা মামলা হিসেবে নেওয়া হবে।