বাড়ির পাশের সড়কে ছটফট করতে করতে মারা গেলেন তরুণ

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে খাবার খেয়ে নিজ বাড়ির দোতলার একটি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন জাহিদুল। সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির কাছাকাছি সড়কের পাশে জাহিদুলকে শুয়ে ছটফট করতে দেখেন স্থানীয় মোখলেস গোলদার। জাহিদুলের এ অবস্থা দেখে তিনি তাঁর মা–বাবাকে খবর দেন। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জাহিদুলের চাচা মো. শামীম হোসেন মৃধা বলেন, জাহিদুলের সঙ্গে তাঁর মা–বাবা কিংবা অন্য কারও ঝগড়াঝাঁটি হয়েছে বলে তাঁদের জানা নেই। কেন ছেলেটি এভাবে মারা গেল তাঁরা কেউ বুঝতে পারছেন না। আজ কাজে যাওয়ার সময় শুনতে পান জাহিদুল সড়কের পাশে ছটফট করছেন। বিষজাতীয় কিছু পান করেছেন কি না, তা-ও বলতে পারেননি তিনি।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. তানভীর হাসান বলেন, পরিবারের তথ্যমতে মনে হচ্ছে, তিনি বিষাক্ত কিছু পান করে মারা যেতে পারেন। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রেমঘটিত কোনো কারণে ছেলেটি আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে তদন্ত না করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।