নোয়াখালীতে গৃহবধূ হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূ ফাতেমা আক্তারকে (২০) হত্যার দায়ে তাঁর স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এম এম মোর্শেদ খান এ রায় দেন। আদালতের স্টেনোগ্রাফার চন্দন কুমার মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম মইন উদ্দিন ওরফে মহিন (৪২)। তিনি বর্তমানে পলাতক।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে ২০০৫ সালের ৩১ আগস্ট রাতে মইন উদ্দিন তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আক্তারকে জেলা শহর মাইজদীর মাস্টারপাড়ার ভাড়া বাসায় ওঠানোর কথা বলে তাঁকে নিয়ে আসেন। কলহের জেরে ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে মইন উদ্দিন বেগমগঞ্জ উপজেলার গাওয়া এলাকায় ফাতেমাকে হত্যা করে লাশ স্থানীয় একটি মসজিদের পাশে ডোবার মধ্যে ডুবিয়ে রাখেন। এদিকে দুই দিন ধরে মেয়ের কোনো খোঁজখবর না পেয়ে ফাতেমার বাবা ইব্রাহিম মিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা সন্ধান করতে থাকেন। পরে ২ সেপ্টেম্বর মসজিদসংলগ্ন ডোবায় ফাতেমার লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় ফাতেমার বাবা বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মইন উদ্দিনসহ ১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ১০ জনের নামে একই বছর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। সাক্ষ্যপ্রমাণ ও শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন এমদাদ হোসেন এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোল্লা হাবিবুর রাসুল।