কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকায় আগুনে ১১টি বসতঘর ও ১টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে অন্তত ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। অন্তত দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় স্থানীয় জনতা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পেয়ে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা ও পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে কাপড়চোপড় দিয়ে সহযোগিতা করেন।
ইউএনও বলেন, ঘুমিয়ে থাকায় কেউ জিনিসপত্র বের করতে পারেননি। এ কারণে কারও কারও টাকাও পুড়ে গেছে। সবাই প্রাণ নিয়ে দৌড় দিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যত দূর সম্ভব অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহযোগিতা করা হবে।
বাইম্যাখালী এলাকার বাসিন্দা আনছার উদ্দিন বলেন, মোহাম্মদ সোহেলের মুদিদোকানের মাল্টিপ্লাগ থেকে আগুনের সূত্রপাত। যখন আগুন লাগে, তখন সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন। এ কারণে বসতঘর বেশি পুড়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেড়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে স্থানীয় কামাল হোসেন, আকতার হোসেন, আছত আলী, নেজাম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, আজিম উদ্দিন, মো. শুক্কুর, কফিল উদ্দিন, মোজাহের ইসলাম, আবদুর রহিম বাদশাহ ও মোহাম্মদ সোহেলের বসতঘর পুড়ে গেছে। এ ছাড়া সোহেলের একটি মুদিদোকানও পুড়েছে।
পেকুয়া বাজারে লেপ-তোশকের ব্যবসা করেন আবদুর রহিম বাদশাহ। তাঁর বসতঘরও আগুনে পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। যখন জাগি, তখন দেখি সব শেষ হয়ে গেছে। ঘর থেকে প্রাণটা ছাড়া আর কিছুই বের করতে পারিনি।’