সিলেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় তিনজনের কারাদণ্ড, ৫০ নৌকা ধ্বংস

সিলেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবহনের অভিযোগে তিনজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছেছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথরকোয়ারি-সংলগ্ন বাংকার এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবহনের অভিযোগে তিনজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত ৫০টি নৌকা ধ্বংস করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট বালু।

গতকাল শনিবার বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত উপজেলার বাংকার ও তেলিখাল এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনানসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, তেলিখাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করা ২ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট বালু ও একটি পেলুডার (বালু ওঠানো–নামানোর যন্ত্র) জব্দ করা হয়। এ ছাড়া বালু পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাকের কাগজপত্র না থাকায় মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে বাংকার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাথর উত্তোলন ও পরিবহনে জড়িত থাকার দায়ে তিনজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আজিজুল, আলাউদ্দিন ও শফিকুল ইসলাম।

ইউএনও আজিজুন্নাহার বলেন, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। এরই অংশ হিসেবে আজকের এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল কোম্পানীগঞ্জের সাদা পাথর এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের পরিচালিত টাস্কফোর্স অভিযানে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের অভিযোগে ৯ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাকে সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থার জন্য পাঠানো হয়।