সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলার পৌরসভাগুলোতে গ্যাসলাইন হবে: নসরুল হামিদ

মতবিনিময় সভা ও গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের শাহবাজপুর এলাকায়ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলার পৌরসভাগুলোতে গ্যাসের পাইপলাইন টানা হবে। তারপর ভোলায় সার কারখানা স্থাপন করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন, কূপ খনন ও জরিপ কার্যক্রম বিষয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতবিনিময় সভা ও গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সীমা হামিদ, ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন–দৌলতখান) আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম, জ্বালানি সচিব নুরুল আলম প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘ভোলা থেকে পটুয়াখালীতে গ্যাসের পাইপলাইন পৌঁছাতে এবং ভোলার পৌরসভাগুলোতে পাইপলাইন পৌঁছাতে সাড়ে তিন বছর লাগবে। এখানে ইন্ডাস্ট্রি ছাড়াও আবাসিক খাতে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া হবে। এখানকার আবাসিক খাতে খুবই কম সংযোগ দেওয়া আছে। বাকিটা দেওয়ার জন্য আমরা ইতিমধ্যে টেন্ডার করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে আমরা এই এলাকায় বাকিটার ব্যবস্থা করব। পাইপলাইন করার জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি হাতে পেয়েছি। আমরা রুটও পেয়ে গেছি। আর একটা রুট নিয়ে এখন কাজ করতে হবে। সে রুটটি সম্পূর্ণ হলে, তিন থেকে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে পাইলাইন টানা হবে।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা এখন ভোলার শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ডে আছি। এখান থেকে ১৮০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমএসএফ) গ্যাস নিচ্ছি। উত্তোলিত গ্যাসের একটা বড় অংশ দিয়ে তিনটি পাওয়ার প্ল্যান্টে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এখান থেকে আরও ৩০০ এমএমএসএফ গ্যাস পাইপ লাইনে করে বরিশাল হয়ে পটুয়াখালী পাঠানো হবে।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ইতিমধ্যে লক্ষ করেছেন, সিএনজি করে কিছু গ্যাস ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। আমাদের মেইন উদ্দেশ্য হলো, সারা বাংলাদেশে বিশেষ করে ইন্ডাস্ট্রি এবং বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে যেখানে গ্যাসের স্বল্পতা আছে, সেখানে গ্যাস পৌঁছে দেওয়া।’

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের আরও নয়টি কূপ খনন করার আরেকটা পরিকল্পনা আছে। এ জন্য ভোলা জেলার অভ্যন্তরে ও আশপাশের নদী এলাকায় সার্ভে চালানো হবে। আমরা সেইভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে, যত দ্রুত সম্ভব, গ্যাসক্ষেত্রের জন্য অনুসন্ধান চালানো হবে।’