টেকনাফ-সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু, বিকেলে ফিরবেন আটকে পড়া ৪০০ পর্যটক

টেকনাফ-সেন্টমাটিন নৌপথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজ
ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে তিন দিন বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনের নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজের চলাচল আবার শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা ও বেলা ১১টার দিকে পর্যটকবাহী দুটি জাহাজ টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বেলা তিনটার দিকে জাহাজ দুটি দ্বীপে আটকে পড়া চার শতাধিক পর্যটক নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।

ইউএনও বলেন, আজ সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচলে কোনো বাধা নেই। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ৬২ জন পর্যটক নিয়ে কেয়ারি সিন্দাবাদ নামে একটি জাহাজ ছেড়ে গেছে। পরে প্রশাসনের কড়া নির্দেশনায় বেলা ১১টার দিকে এমভি বার আউলিয়া জাহাজটি একই ঘাট থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। জাহাজ দুটি দুপুরে সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এর মধ্যে গত মঙ্গল ও বুধবার বেড়াতে আসা চার শতাধিক পর্যটক সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছিলেন। বেলা ‍তিনটার দিকে জাহাজ দুটিতে করে সেন্ট মার্টিন থেকে চার শতাধিক পর্যটক ফিরতে পারবেন।

কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. শাহ আলম বলেন, তিন দিন পর পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ সকালে মাত্র ৬২ পর্যটক দ্বীপে গেছেন। হরতাল-অবরোধের কারণে পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে বলে জানান তিনি।

তিন দিন ধরে দ্বীপে চার শতাধিক পর্যটক আটকে থাকার কথা জানিয়ে সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আজ পর্যটকেরা টেকনাফে ফিরতে পারবেন।