বাগেরহাটে ‘শ্বশুরবাড়ির লোকজনের’ মারধরে যুবকের মৃত্যু
বাগেরহাটে মারধরের শিকার হয়ে সোহাগ সরদার (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
সোহাগের বাড়ি চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামে। তিনি ওই ইউনিয়নের যুবদলের সদস্য ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সোহাগের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোহাগের পরিবার বলছে, বাগেরহাট সদর উপজেলার আদিখালি গ্রামের ছনিয়া আক্তারের সঙ্গে বছর দেড়েক আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সোহাগের। গতকাল তিনি শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। তাঁকে বেধড়ক মারধর করে মুখে বিষ দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
সোহাগের বোন রেখা বেগম বলেন, সোহাগ তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে চিতলমারীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। বিয়ের পর থেকে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। এর আগেও সোহাগের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে মারধর করেছেন। তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে সোহাগের শ্বশুরবাড়ির কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ বলছে, ঘটনার পর থেকে সোহাগের স্ত্রী ছনিয়া আক্তার, শ্বশুর দীলু মাঝিসহ পরিবারের সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন।
এদিকে মারধরের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ সকালে রজো পাইক নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন নিহত সোহাগের স্বজনেরা। তাঁর বাড়ি আদিখালি গ্রামে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদ-উল-হাসান প্রথম আলোকে বলেন, নিহত সোহাগের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা, তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে।