খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও র‌্যাগিংয়ের নামে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা। অভিযোগে বলা হয়েছে, বিভাগের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করেছেন একই ডিসিপ্লিনের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ক্লাসের নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পরও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্লাসে আটকে রাখা, কারণে–অকারণে গালাগালি করা, বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করা ছাড়াও সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের ভেতরে কোথাও ডেকে নিয়ে হয়রানি করছেন প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা।

প্রতিবছর ক্লাস শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের মাদক ও র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে শপথ করানো হয়।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান বলেন, গত ১৬ আগস্ট ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা নানাভাবে প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের মানসিক হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ছাত্ররা লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কয়েক বছর ধরে র‌্যাগিং বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রতিবছর ক্লাস শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের মাদক ও র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে শপথ করানো হয়। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী ‘একাডেমিক কাউন্সেলিং অ্যান্ড মোটিভেশন’ সেমিনার শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই সেমিনার চলাকালে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেল।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ডিসিপ্লিনের দ্বিতীয় বর্ষের ছয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। ওই ডিসিপ্লিনের প্রথম বর্ষের ১৫ জন শিক্ষার্থী ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এর আগে ২০২১ সালে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।