চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যার পৃথক দুই মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে পৃথক দুই মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পর্যায়ক্রমে এই দুই মামলার রায় দেন চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক। সেই সঙ্গে আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। উভয় মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী আইনজীবী মোক্তার আহমেদ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের রামদাসদী গ্রামের বায়েজীদ খান ওরফে বাবুল (২৮) এবং হাজীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের হাসান সর্দার (৩৮)।
মামলা দুটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, কিস্তির টাকা পরিশোধকে কেন্দ্র করে ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি মধ্যরাতে বায়েজীদ খানের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী সালমা বেগমের (২২) বাগ্বিতণ্ডা বাধে। একপর্যায়ে বায়েজিদ স্ত্রী সালমাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় সালমার বাবা আবদুল লতিফ মিজি বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বায়েজীদকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই ঘটনায় পুলিশ বায়েজিদকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর সদর মডেল থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া তদন্ত শেষে ওই বছর ৫ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটির বিচারকাজ ছয় বছরের অধিক সময় চলে। আদালত ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন।
অপরদিকে ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাতে পারিবারিক কলহ ও যৌতুকের টাকা দাবিকে কেন্দ্র করে হাসান সর্দার তাঁর স্ত্রী সাহিদা বেগম ওরফে মুক্তাকে (৩৬) গলা কেটে হত্যা করে পুকুরে ফেলে রাখেন। পরদিন সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুর মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় মুক্তার ভাই মো. সোহাগ মজুমদার (৩৫) বাদী হয়ে পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর হাজীগঞ্জ থানায় হাসান সর্দারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় হাসান গ্রেপ্তার হন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীদ হোসেন তদন্ত শেষে ওই বছর ২৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ এই রায় ঘোষণা করেন।