জাহাঙ্গীরকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের কারণ ব্যাখ্যা করলেন শাজাহান খান
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান। তিনি বলেছেন, জাহাঙ্গীরকে একটা সুযোগ দেওয়া হতো, যদি তিনি নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতেন। তিনি নিজে যখন প্রার্থী হতেই পারলেন না, তখন তাঁর মাকে প্রার্থী করেছেন। এই কারণেই তাঁকে মূলত দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে যোগদানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান এসব কথা বলেন।
শাজাহান খান আরও বলেন, ‘নির্বাচন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী যদি যান, তাহলে দল তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাহাঙ্গীরকে প্রথমে সাবধান করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কথা শোনেননি। তাই দল তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’
অন্য সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের বহিষ্কার না করার কারণ জানতে চাইলে শাজাহান খান বলেন, ‘তাঁদের বিরুদ্ধেও দল বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেবে। তবে অন্য জায়গার কোনো প্রার্থী তো বহিষ্কারের সুপারিশপ্রাপ্ত নয়। জাহাঙ্গীর তো বহিষ্কৃত। তা ছাড়া জাহাঙ্গীরকে আগেই স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়নি। আওয়ামী লীগ তাঁকে সুযোগ দিয়েছে। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে তাঁর বিরুদ্ধে কিন্তু স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের বিষয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘দেশে এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থা অনেক ভালো। যে কারণে মানুষের নিরাপত্তাও অনেকটা ভালো। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রত্যাহারের যে কথা বলা হয়েছে, মূলত সব দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়নি। তাঁদের বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে। যাঁদের বাড়তি নিরাপত্তা দরকার, সেই বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভাববে।’
মাদারীপুর-২ (রাজৈর-সদর একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, ‘বিএনপি বিভিন্ন দেশে আমাদের নিষেধাজ্ঞার জন্য তদবির করেছিল। কিন্তু তাদের সেই তদবির কাজে আসেনি। ফলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভবিষ্যতে যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা দেবে, তাদের থেকে কোনো মালামাল ক্রয় করা হবে না। এতে বোঝা যায়, দিন দিন বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
এ সময় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনউদ্দিন, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক আবদুর রাজ্জাক রনি, কৃষক লীগের নেতা সাকিলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।