পরশুরামে আ.লীগ নেতার মামলায় যুবলীগের সভাপতি কারাগারে

কারাগার
প্রতীকী ছবি

ফেনীর পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর করা মামলায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইয়াছিন শরীফ মজুমদারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পৌর মেয়রের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলাটিতে আজ সোমবার দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন ইয়াছিন শরীফ মজুমদারসহ ১২ আসামি। আদালত ১১ আসামির জামিন আবেদন মঞ্জুর করলেও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইয়াছিন শরীফ মজুমদারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতের আদেশের বিষয়টি ইয়াছিন শরীফ মজুমদারের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

গত শনিবার দুপুরে ইয়াছিন শরীফ মজুমদারসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। মামলায় অভিযুক্ত সবাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হামলায় আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অনাদি রঞ্জন সাহাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি রাতে হামলার শিকার হন নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান। এতে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন তিনি। মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইয়াছিন শরীফ মজুমদার।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পরশুরাম উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামে একটি জানাজায় বক্তব্য দেওয়া নিয়ে বিরোধে জড়ান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার এবং সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। এ ঘটনায় প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে পরস্পরের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন দুজন। পরে এর জেরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অনাদি রঞ্জন সাহাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। কামাল উদ্দিন মজুমদারের ঘনিষ্ঠ অনাদি রঞ্জন সাহার অভিযোগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছেন। কারাগারে পাঠানো ইয়াছিন শরীফ মজুমদারও কামাল উদ্দিন মজুমদারের অনুসারী। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরোধের ঘটনার তদন্ত করছে জেলা আওয়ামী লীগের তিন সদস্যের কমিটি।