খুলনায় শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

আদালত
প্রতীকী ছবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় রাফি ইসলাম (৩০) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক আবদুস সালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর সঙ্গে আসামি রাফি ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এ সূত্র ধরে আসামি ওই ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সোনাডাঙ্গার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ ছাড়া ঢাকায় নিয়েও তাঁকে ধর্ষণ করেন ওই যুবক। এ ঘটনা জানতে পেরে ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যেরা ছেলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে তাঁদের বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ছেলের পরিবারের সদস্যেরা তা মানতে অস্বীকার করেন। পরে ওই ছাত্রী গত বছরের ৮ জানুয়ারি আদালতে ধর্ষণের মামলা করেন।

আদালতের নির্দেশে একই বছরের ১১ জানুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক সোহেল রানা ওই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এই মামলায় সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আজ আদালত মামলার একমাত্র আসামি রাফি ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘আদালতের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা অহরহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা দেখতে পাই। এ রকম ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’