বরিশালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর জেলেদের হামলা, তিন জেলের কারাদণ্ড

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলা করেন স্থানীয় লোকজন। শনিবার দুপুরে নদীর মোস্তফাবাজার এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান চালাতে গিয়ে জেলেদের হামলার শিকার হয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ শনিবার দুপুরে তেঁতুলিয়া নদীর মোস্তফাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় উপজেলা মৎস্য বিভাগের ট্রলারের মাঝি রবিউল হাসান, সুমন সরদার ও মো. সুজন আহত হয়েছেন।

মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চালাতে যান। এ সময় নদীতে মাছ শিকার করা জেলেদের ধাওয়া করে তিনটি ইঞ্জিনচালিতসহ পাঁচটি নৌকা ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এ সময় ১৫০ থেকে ২০০ নারী-পুরুষ সংগঠিত হয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেন।

মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন আরও বলেন, হামলাকারী জেলেরা দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। নৌকা দুটি রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তিন মাঝিকে পিটিয়ে আহত করেন হামলাকারীরা। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, হামলার পর একটি ইঞ্জিনচালিতসহ তিনটি নৌকা ও তিনটি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। হামলায় কেউ গুরুতর আহত হননি। আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা কারেন্ট জাল পুড়িয়ে নষ্ট ও নৌকা তিনটি নিলামে বিক্রি করা হবে। এ ঘটনায় মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিন জেলের কারাদণ্ড

এদিকে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে মা ইলিশ ধরার দায়ে তিন জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে জাল ফেলায় তাঁদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান এ দণ্ড দেন।

কারাদণ্ড পাওয়া জেলেরা হলেন সদর উপজেলার চরকাউয়া এলাকার আরাফাত মজুমদার (২৬), কাউনিয়া থানার চুরামন এলাকার রুবেল মৃধা (৩০) ও আজিজুল মৃধা (২৭)।

ইউএনও মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের দ্বিতীয় দিনে কীর্তনখোলা নদীতে উপজেলা মৎস্য কার্যালয় ও নৌ পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়। এ সময় নদী থেকে ছয় জেলেকে আটক করা হয়। পরে আটক জেলেদের মধ্যে তিনজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্য তিনজনের বয়স কম হওয়ায় পরিবারের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে জেলেদের কাছ থেকে জব্দ করা জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।