শ্রীনগরে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকার প্রার্থীর জন্য সভা

শ্রীনগরে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকার প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের সভা। শনিবার দুপুরে শ্রীনগর ডাকবাংলো এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মুন্সিগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদের বিজয় নিশ্চিত করতে মতবিনিময় সভা হয়েছে। শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শনিবার দুপুরে শ্রীনগর ডাকবাংলোর সামনে এ সভা হয়।

সভায় নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় সভাটি হয়। সভাটি দলীয় সভা বলে দাবি করছেন আয়োজকেরা।

তবে ওই সভার ব্যানারে বড় অক্ষরে লেখাছিল, ‘২০২৪ জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-১ নির্বাচনী আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা।’ সভায় মূল দল ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক শ নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সভা থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে বলা হয়।

নির্বাচন কমিশনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ১২ ধারায় বলা আছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী সভা, প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এর আগে ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ নেই।

এ ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই সভা তিনি আয়োজন করেননি। শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজন করেছিল। মানুষজনও তারা জড়ো করেছে। সেখানে তিনি উপস্থিত ছিলেন মাত্র।

নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা, ব্যানারে এমন লেখার বিষয় জানতে চাইলে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ব্যানারের লেখা আমি পড়ে দেখিনি।’ এটি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় কি না, জানতে চাইলে এই প্রার্থী বলেন, সারা দেশেই এমনটা হচ্ছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি সেলিম আহমেদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মাকসুদ আলম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. আজিজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, কোলাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম মাহবুবুল্লাহ কিসমত, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফিরোজ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক হাজী নেছারুল্লাহ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল্লাহ খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন খান প্রমুখ।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মসিউর সভা আয়োজনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এটি আওয়ামী লীগের সভা। তবে সভা করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়, এমনটি তাঁরা জানেন না।