পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রায় এক যুগ আগে আবদুল কুদ্দুস দুপচাঁচিয়া উপজেলার তাসলিমা বেগমকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির তাহসিনসহ তিন সন্তান রয়েছে। দাম্পত্য কলহের জেরে বছরখানেক আগে স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় আবদুল কুদ্দুসের। এরপর থেকে তাসলিমা তাঁর বাবার বাড়িতে থাকছেন।
গতকাল সকালে তাসলিমা সন্তানদের দেখতে গোদারপাড়ায় আবদুল কুদ্দুসের বাড়িতে আসেন। এ সময় প্রতিবেশী আমিনুর ও তাঁর স্ত্রী শোভা বেগম পূর্ববিরোধের জের ধরে তাসলিমাকে গালাগাল শুরু করেন। এর জবাব দিলে তাঁরা কুদ্দুসের মা কুলসুমকে মারধর শুরু করেন। এ সময় কুদ্দুস এগিয়ে গেলে তাঁকেও মারধর শুরু করেন আমিনুর ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
বাবাকে মারতে দেখে শিশু তাহসিন ছুটে গেলে আমিনুর তার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হয় সে। উদ্ধার করে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মারা যায় সে।
বগুড়ার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সুজন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।