ইফতার কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

ফেনী সরকারি কলেজ

ফেনী সরকারি কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত গণ ইফতার কর্মসূচি হামলা চালিয়ে পণ্ড করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

আয়োজকদের অভিযোগ, আজ সোমবার ইফতারের আগমুহূর্তে কলেজ ও জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে সবাইকে সরিয়ে দেন। মারধর করেন। এতে আটজন আহত হয়েছেন।

আয়োজকেরা জানান, গণ ইফতারে অংশ নিতে শিক্ষার্থীরা বিকেল থেকেই কলেজের পাশের পাইলট স্কুল মসজিদে জড়ো হতে থাকেন। খবর পেয়ে জেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি তোফায়েল আহমেদ, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নোমান হাবিবসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী সেখানে হাজির হন। নেতা-কর্মীরা শিক্ষার্থীদের সরে যেতে বলেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে ছাত্রলীগের মারধরে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

আহত শিক্ষার্থী আবদুল মোহাইমিন আজিম অভিযোগ করেন, ইফতারে অংশ নিতে এলে তাঁদের ব্যাট-স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে ছাত্রলীগ। মারধর করে তাঁকে প্রায় আধা ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। এরপর মুক্ত হয়ে তিনি ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি আহত ব্যক্তিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের জেলা শাখার সভাপতি তোফায়েল আহমেদ ও কলেজ শাখার সভাপতি নোমান হাবিব। তাঁদের দাবি, ছাত্রশিবিরের কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে কলেজে ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করেছিলেন। বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় শিবিরের কর্মীদের কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ মোক্তার হোসেইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইফতার পার্টির জন্য কেউ আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি। তবে ইফতার পার্টিতে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি।’

এ বিষয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। কেউ লিখিত অভিযোগও করেনি।