টুঙ্গিপাড়ায় স্বামীকে শৌচাগারে আটকে রেখে নববধূর শ্লীলতাহানি ও অশ্লীল ভিডিও ধারণের অভিযোগ

নারী নির্যাতন
প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় স্বামীকে শৌচাগারে আটকে রেখে নববধূকে নির্যাতন, শ্লীলতাহানি, অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই নারী একই এলাকার দুজনের নাম উল্লেখ করে চারজনের বিরুদ্ধে টুঙ্গিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী ওই নববধূ বলেন, বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজন ঘরে শুয়ে ছিলেন। এক ব্যক্তি অসুস্থ ও পানি খাওয়ানোর কথা বলে ঘরের দরজার সামনে কয়েকজন এসে ডাকাডাকি করেন। দরজা খুলে তাঁরা পানি দিতে যান। এ সময় চারজন জোর করে তাঁদের ঘরে ঢুকে যান। ঘরের ভেতরে ঢোকামাত্র তাঁর স্বামীকে ধরে শৌচাগারে আটকে রাখেন তাঁরা। চিৎকার–চেঁচামেচি শুনে অপর ঘর থেকে তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি এলে তাঁদের মারধর করা হয়। পরে রশি দিয়ে তাঁদের বেঁধে ফেলা হয়। তাঁকেও (নববধূ) নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে মুঠোফোনে তাঁর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘নাইম তালুকদার (২১), মিজু তালুকদার (২২) ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা জোর করে ঘরে প্রবেশ করে আমাকে বাথরুমে আটকে রেখে আমার নববধূর শ্লীলতাহানি করে। মুঠোফোনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। চিৎকার শুনে আমার মা–বাবা এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়।’

স্থানীয় এক গৃহবধূ বলেন, এলাকায় একদল নেশাগ্রস্ত বখাটে প্রভাব খাটিয়ে প্রায়ই এমন অপকর্ম করে থাকে।

অভিযোগের বিষয়ে নাইম তালুকদারের সঙ্গে কথা বলতে তাঁর বাড়ি গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর মা বলেন, ‘আমার ছেলে যে কাজ করছে, এটা অপরাধ। এর জন্য আমি ওই নারীর স্বামী ও শ্বশুরের কাছে আমি ক্ষমা চেয়েছি।’ ঘটনার পর থকে নাইম তালুকদার, মিজু তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা পলাতক। ফলে অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনার তিন দিনেও পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি। টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস‌ এম কামরুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, এখনো তাঁর হাতে অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।