কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে মঙ্গলবার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি: প্রথম আলো

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে বন্ধ করা হলগুলো ছয় দিন পর খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়টির পাঁচটি হলই খুলে দেওয়া হবে। তবে হলে উঠতে পারবেন কেবল বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

আজ শনিবার বেলা ১১টায় উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈনের সভাপতিত্বে এক জরুরি ভার্চু৵য়াল সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পাঁচটি হলের প্রভোস্ট, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা) ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সংযুক্ত ছিলেন। তবে সভায় ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন ছাড়া অন্যকোনো পরিবহন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

হল খুললে পরীক্ষা বন্ধ থাকবে কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষা নিতে হলে প্রস্তুতির বিষয় আছে। সে কারণেই ১৭ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিতের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে, তা বহাল রাখা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশাসন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে ২ অক্টোবর ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্তির জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে ছাত্রদের এবং ৩ অক্টোবর সকাল নয়টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা ঘোষণা অনুযায়ী হল ত্যাগ করে যাওয়ার পর সিলগালা করা হয়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ছাত্রী হল। তিনটি ছাত্র হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রী হলে অবৈধ কোনো শিক্ষার্থী নেই, কিন্তু তিনটি ছাত্র হলে অবৈধ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। এসব শিক্ষার্থী কোনো ধরনের ফি না দিয়েই বছরের পর বছর হলে থাকেন। অনেকের ছাত্রত্ব শেষ, তবুও হলে থাকেন। ছাত্রত্ব শেষ হওয়া সাবেক শিক্ষার্থীরা হলে থেকে নানা ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে আছেন। তাই তাঁদের সরিয়ে বৈধ শিক্ষার্থীদের হলে ওঠালে কর্তৃপক্ষ যেমন ফি পাবে, তেমনি সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে সুন্দরভাবে থাকার সুযোগ পাবেন।