স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহারা গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী আবদুল আহাদ। তিনি কুড়িগ্রাম শহরের নাজিরা মুন্সিপাড়ায় ক্রয় করা ৭ শতক জমিতে ফ্ল্যাট নির্মাণ করছিলেন।

প্রতিবেশী আজিমুদ্দিনের ছেলে কয়ছার, কুতরত, লিয়াকত ও রেজাউলের সঙ্গে সীমানা নিয়ে তাঁর বিরোধ চলছিল। কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পর আজ সকালে কাজ শুরু হলে মৃত আজিমুদ্দিনের ছেলেরা কাজে বাধা দেন। এ সময় বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিয়া কথা বলতে গেলে আজিমুদ্দিনের ছেলে কয়ছার, কুদরত, লিয়াকত, রেজাউল, তাঁদের স্ত্রী, সন্তানসহ তাঁর (সেলিম) ওপর আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই সেলিম মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে লিয়াকত, কুদরতের স্ত্রী নাজমা বেগম ও কয়ছারের স্ত্রী মল্লিকাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান সরদার জানান, মৃত অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আরও কেউ জড়িত থাকলে তাঁদেরও আইনের আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।