কক্সবাজারে আলোচিত ১৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

কক্সবাজার সদরের চৌফলদণ্ডী উপকূলে মাছ ধরার ট্রলার থেকে উদ্ধার করা ১৪ লাখ ইয়াবা ও কোটি টাকাসহ গ্রেপ্তার মাদক ব্যবসায়ীরা
ফাইল ছবি

কক্সবাজার উপকূল থেকে পুলিশের হাতে ১৪ লাখ ইয়াবার চালান জব্দের মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ওই মাদক মামলার রায়ে তিন ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

ক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় দিয়েছেন। এ সময় এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায়ে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নুনিয়াছড়া এলাকার জহুরুল ইসলাম ও তাঁর শ্বশুর আবুল কালাম এবং একই এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁদের ৫ লাখ টাকা করে জরিমানার সাজা দেওয়া হয়। আবুল কালামের ছেলে শেখ আবদুল্লাহকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রায় প্রদানের সময় মামলার চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের খুরুশকুল-চৌফলদণ্ডী উপকূলের প্যারাবনের পাশের খালে একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১৪ লাখ ইয়াবার একটি চালান জব্দ করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় ট্রলার থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বস্তাভর্তি ইয়াবা বিক্রির ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) দীলিপ কুমার ধর প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় ওই দিনই তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন। শেখ মোহাম্মদ আলী বর্তমানে উখিয়া থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ওই বছরের ৩ জুন আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মো. আজহারুল ইসলাম। ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ মামলার রায় দেন আদালত। রায় প্রদানের সময় আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, মাদক মামলায় পলাতক ও ইয়াবা চোরাচালানের নেপথ্যের নায়কদের শনাক্ত করা জরুরি।

একজন আসামি খালাস পাওয়ার বিষয়ে মামলার বাদী উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর সঙ্গে আলাপ করে উচ্চ আদালতে আপিলের ব্যবস্থা করা হবে।