বিয়েবাড়িতে শোকের মাতম

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় পিকআপ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সলিয়া দীঘিরপাড় এলাকায় ঘটা এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

নিহত মো. তাজুল ইসলাম (২৭) ও আহত ব্যক্তিরা সবাই উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের মুন্সিরখীল গ্রামের বাসিন্দা। তাজুল ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতেন।

নিহত ও আহত ব্যক্তিদের স্বজন আজিজুল হক জানান, আজ শুক্রবার তাঁদের বাড়িতে বিয়ের বউভাত অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠানের মেহমানদের জন্য বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ফলে ওই বাড়িতে বিয়ের আনন্দের পরিবর্তে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় করে পরশুরাম উপজেলা সদর থেকে নিজেদের বাড়ি বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের মুন্সিরখীল গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন মো. কাউছার (৩০), মো. তাজুল ইসলাম (২৭), হাফেজ আহম্মদ আজম (৫০)। পরশুরাম-ছাগলনাইয়া সড়কের সলিয়া দীঘিরপাড়ে পৌঁছালে একটি পিকআপের সঙ্গে অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। গুরুতর আহত হন অটোরিকশার তিন যাত্রীসহ চালক মো. নাঈম উদ্দিন (২০)।

স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন রাতে সাড়ে ১১টার দিকে তাজুল ইসলামের মৃত্যু হয়। আহত অপর তিনজনকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহত ও আহত ব্যক্তিদের স্বজন আজিজুল হক জানান, আজ শুক্রবার তাঁদের বাড়িতে বিয়ের বউভাত অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠানের মেহমানদের জন্য বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ফলে ওই বাড়িতে বিয়ের আনন্দের পরিবর্তে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিকআপ ও অটোরিকশাটি জব্দ করে থানা হেফাজতে নিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।