মহেশখালীতে দুই পক্ষের গোলাগুলি-সংঘর্ষে আরেকজন নিহত

লাশ
প্রতীকী ছবি

চিংড়িঘের দখল নিয়ে কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়ায় দুই পক্ষের গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় আরেকজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম সাদ্দাম হোসেন (৩৮)। তিনি উপজেলার সোনাদিয়ার পশ্চিমপাড়ার আনোয়ার পাশার ছেলে। এর আগে গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে সোনাদিয়ার পশ্চিম পাড়া বড়ঘোনা নামের চিংড়িঘেরে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাইফুল ইসলাম (৩৩) নামে এক লবণচাষি নিহত হন। সাইফুল বড়মহেশখালী ইউনিয়নের মুন্সির ডেইল এলাকার গোলাম কুদ্দুসের ছেলে।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, দুই পক্ষের গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন নামের আরেকজন মারা গেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে এ ঘটনায় আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। গতকাল দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে আটক করেছে। পরে এলাকাবাসীর হাতে অস্ত্রসহ আটক মোহাম্মদ রাকিব নামের এক যুবককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় সব মিলে আটক চারজন। অন্যদের ধরার চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চিংড়িঘের দখল নিয়ে গতকাল বেলা ১১টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ চিংড়িঘের নিয়ে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরাঘোনা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিম পাড়ার আজিম মিয়ার বিরোধ চলছিল। ওই চিংড়িঘের এত দিন জাহাঙ্গীর আলমের দখলে ছিল। গতকাল আজিম মিয়া তাঁর দলবল নিয়ে চিংড়িঘের দখল করতে গেলে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের লোকজন বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন অন্তত সাতজন।
একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষের লবণচাষি সাইফুল ইসলাম নিহত হন। আহত সাদ্দাম হোসেন, শফিউল আলম, আনজু মিয়া, ইমতিয়াজ উদ্দিন ও ফরিদুল আলমকে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে সাদ্দাম হোসেন মারা যান।